সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে

সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে । সাইবার নিরাপত্তা কি

সাইবার নিরাপত্তা হলো ডিজিটাল পরিবেশে তথ্য ও তথ্যসংক্রান্ত সম্পদ বাহিরে থেকে অপরিবর্তিত রাখা এবং তথ্য ও তথ্যসংক্রান্ত সম্পদের অবদান বা অ্যাক্সেসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও প্রতিরোধ প্রদানের প্রক্রিয়াবলম্বী। সাইবার নিরাপত্তা মূলত ইন্টারনেট, কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক এবং তথ্য সংক্রান্ত প্রযুক্তির বিভিন্ন দিকগুলির সুরক্ষা ও প্রতিরোধ নিশ্চিত করে। সাইবার নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে তথ্য সংরক্ষণ, তথ্যগত গোপনীয়তা, ডাটা অনুমোদন, ভূমিকা বিন্যাস সুরক্ষা, ডিজিটাল সংক্রান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে সুরক্ষা এবং নেটওয়ার্ক সুরক্ষা ইত্যাদি নিশ্চিত করে। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টি গত দশকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ সাইবার অপরাধগুলির সংখ্যা এবং তার প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Table of Contents

গোপনীয়তা, সততা এবং উপলব্ধতার গুরুত্ব

গোপনীয়তা, সততা এবং উপলব্ধতা সাইবার নিরাপত্তার তিনটি মূল স্তম্ভ। এই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক ও প্রক্রিয়ামূলক বৈশিষ্ট্যগুলি সাইবার নিরাপত্তা প্রদানে একটি সুরক্ষিত ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে।

  1. গোপনীয়তা (Privacy): গোপনীয়তা সাইবার নিরাপত্তার একটি মৌলিক সংক্রান্ত বিষয়। এটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ও সংস্থানিক তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষার জন্য নিশ্চিত করে। গোপনীয়তা নিয়ে সঠিক সংজ্ঞা, তথ্যের এনক্রিপশন ও এক্সেস নিয়ন্ত্রণ, ডাটা সংরক্ষণের নীতিমালা, ব্যবহারকারীর সম্মতির আলোকে তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার ইত্যাদি গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
  2. সততা (Integrity): সততা সাইবার নিরাপত্তার একটি মৌলিক দিক। এটি তথ্য ও ডাটার মানসম্পন্নতা ও অবিকলতা নিশ্চিত করে। সততা অর্জনে সঠিক এবং সুরক্ষিত ডাটা সংগ্রহ, তথ্য এনক্রিপশন, ডাটা বিনিয়োগ পরিবর্তনের প্রমাণিত ও সংগ্রহ, ডাটা ইনটিগ্রিটির যাচাই, অদলবদলের চেক ইত্যাদি কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট থাকে।
  3. উপলব্ধতা (Availability): উপলব্ধতা সাইবার নিরাপত্তার মাধ্যমে তথ্য ও সেবাগুলির উপলব্ধি নিশ্চিত করে। এটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বা ব্যবহারযোগ্যতা করে তথ্য এবং সেবাগুলির স্থায়িত্ব ও উপলব্ধতা নিশ্চিত করে। উপলব্ধতা ব্যবস্থাপনা, ব্যবহারকারীর প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা, সার্ভারের স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ, ডিজিটাল সংক্রান্ত আক্রমণের প্রতিরোধক্রম ইত্যাদি ক্রিয়াকলাপ উপলব্ধতা সাধারণত ব্যবহার করা হয়।

এই তিনটি মৌলিক অংশগুলি সাইবার নিরাপত্তা বিশ্বে নির্ভরযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য এবং সুরক্ষিত করে তথ্য ও তথ্যসংক্রান্ত সম্পদ। এগুলি একটি সুরক্ষিত সাইবার পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং ব্যবহারকারীদের আশ্রয়শীলতা এবং বিশ্বাস জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যক্তিগত ডেটা রক্ষা করা

ব্যক্তিগত ডেটা রক্ষার জন্য আপনি নিম্নলিখিত কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:

  1. কম্পিউটার ও মোবাইল ডিভাইসের সুরক্ষা: নিয়মিত আপডেট ও সুরক্ষামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস মুছে ফেলুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য কেবল আপনার ট্রাস্টযোগ্য সোর্স থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করুন।
  2. কম্পিউটার এবং অনলাইন অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা: শক্তিশালী ও আপনার স্মরণযোগ্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (MFA) ব্যবহার করুন যাতে অতিরিক্ত সুরক্ষা থাকে। ফিশিং মেইল, ম্যালওয়্যার ও পিশিং অপরাধের সামনে সতর্ক থাকুন এবং কোনও ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করে যাত্রার জন্য সতর্ক থাকুন।
  3. ডেটা এনক্রিপশন: সংযোগ এনক্রিপশন (SSL/TLS) ব্যবহার করুন যাতে আপনার ডেটা সংযোগ সময় এনক্রিপ্ট থাকে। অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য সাইটে শেয়ার না করুন।
  4. ডেটা ব্যাকআপ: গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ডেটা একটি সুরক্ষিত স্থানে ব্যাকআপ করুন, যাতে যদি কোনও অপক্ষম ঘটনা ঘটে তবে আপনি তাদের পুনরুদ্ধার করতে পারেন।
  5. জরুরি অবস্থার জন্য নিশ্চিত করুন: অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্টগুলি সরানো বা অক্ষম করুন। অক্ষম হওয়া অ্যাকাউন্ট সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করুন এবং স্থায়িত্ব পান।

উপরে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলি পালন করলে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ডেটা রক্ষা করতে সক্ষম হবেন। তবে, সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত নতুনকর তথ্য ও পরামর্শের জন্য সর্বদাই কর্তৃপক্ষের (যেমনঃ কিশোর সংকল্প বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ পুলিশ, অথবা অন্য সংস্থা) সাথে যোগাযোগ করুন।

ব্যবসায়িক সম্পদের সুরক্ষা

ব্যবসায়িক সম্পদের সুরক্ষা অনেকটা ব্যক্তিগত ডেটার সুরক্ষার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো যা আপনি ব্যবসায়িক সম্পদের সুরক্ষা জন্য নিতে পারেন:

  1. মালিকানাধীন সুরক্ষা: আপনার ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠানে অ্যাক্সেস কন্ট্রোল ব্যবহার করুন যাতে শুধুমাত্র অনুমোদিত কর্মীদেরই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে অ্যাক্সেস দেওয়া হয়।
  2. ডেটা এনক্রিপশন: ব্যবসায়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি এনক্রিপ্ট করুন। যেমন, ক্রেডিট কার্ড তথ্য, ব্যক্তিগত ব্যাংক তথ্য ইত্যাদি। এটি তথ্যের সংক্ষেপ রূপে একটি নিরাপদ পাঠানো প্রোটোকল (SSL/TLS) ব্যবহার করে করা যেতে পারে।
  3. নিরাপত্তা অভিযান প্রদান: ব্যবসায়ের জন্য একটি সাইবার নিরাপত্তা অভিযান প্রদান করুন। কর্মীদের সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দিন এবং উচ্চ মানসম্পন্ন নিরাপত্তা নীতিমালা স্থাপন করুন।
  4. মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন: ব্যবসায়ের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য মাল্টিফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করুন। কার্যকর হিসাবে, কার্যকর অথবা এমনকি ফিজিক্যাল টোকেন দ্বারা অতিরিক্ত সুরক্ষা যোগ করা হয়।
  5. নিরাপত্তা অনুমান করুন: ব্যবসায়ের জন্য একটি নিরাপত্তা অনুমান ব্যবহার করুন যাতে আপনি পর্যায়ক্রমে আনুমানিক কার্যকলাপের চেষ্টা পর্যাবেক্ষণ করতে পারেন।

উপরে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার ব্যবসায়িক সম্পদের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য কার্যকর পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, সাম্প্রতিক সাইবার নিরাপত্তা প্রকাশে যে কোনও নতুন প্রয়োগও অনুবর্তী থাকতে পারে, সে জন্য নিয়মিতভাবে আপনার ব্যবসার সুরক্ষা প্রক্রিয়াকে আপডেট এবং সম্পর্কিত নতুনকর তথ্য অনুসরণ করতে থাকুন।

সাইবার নিরাপত্তায় সরকারের ভূমিকা

সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ এবং মাহত্ত্বপূর্ণ। সরকার সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি ও আইনগুলি তৈরি করে এবং সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যক্রম নির্দেশনা দেয়। সরকার সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথা সিবিল সুরক্ষা, ম্যাল্টিপ্ল অরগানাইজেশন এবং স্থানীয় কর্মকাণ্ডসমূহের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা করে।

সরকারের সাইবার নিরাপত্তা কর্মকাণ্ড নিম্নলিখিত কাজগুলি শামিল করতে পারে:

  1.  নীতি ও আইন তৈরি: সরকার সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি ও আইন তৈরি করে এবং বাস্তবায়ন করে। এটি সাইবার নিরাপত্তা প্রশাসনের নির্দেশিকা স্থাপন করে যা সাইবার অ্যাটাক প্রতিরোধ, ডেটা প্রাইভেসি, ডিজিটাল সুরক্ষা ইত্যাদি সম্পর্কিত সুপারিশকে ধারণ করে।
  2. সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা: সরকার সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা করে যা আইনপরিষদ, সিবিল সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাইবার নিরাপত্তা অফিস, অফিস অব ন্যাশনাল কাইবার সিকিউরিটি ইত্যাদির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই ব্যবস্থাপনা সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ, পরিদর্শন এবং তদন্তের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারী প্রতিষ্ঠান, গোপনীয় ও নৈতিক ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কিত নীতিমালা এবং গাইডলাইন প্রদান করে।
  3.  সাইবার অপারেশন সেন্টার (COC): সরকার সাইবার অপারেশন সেন্টার (COC) স্থাপন করে যা সাইবার হ্যাকিং, মালওয়্যার সংযোগ, সাইবার আপাততা, ডেটা লিকেজ ইত্যাদি সম্পর্কিত সমস্যার মুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি প্রশাসনিক, তদন্তিক এবং বিশ্লেষণাত্মক কর্মসূচীর সাথে সংযুক্ত হয় এবং সমস্ত সাইবার আপাততা ও দূরবর্তী সাইবার হামলা মুক্তির জন্য দক্ষতা সরবরাহ করে।
  4. সহযোগিতামূলক কর্মসূচি: সরকার সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি চালায় যা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কর্মীদের সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, সাইবার আপাততা পর্যবেক্ষণ, সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ প্রদান ইত্যাদি সম্পর্কিত। সরকার একটি কেন্দ্রীয় নোড হিসাবে কাজ করে যা সকল বিভাগের সাথে সমন্বয়ে কাজ করে সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, জানতার প্রদান, তদন্ত, তদন্ত এবং সাইবার আপাততা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সম্পর্কিত নীতি এবং কার্যক্রম নির্ধারণ করে।

সাইবার নিরাপত্তা প্রশাসনে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে এবং সে সম্পর্কে প্রশাসনিক, বিধিবদ্ধ ও নীতিমালা স্থাপনের মাধ্যমে সামরিক, আইনগত এবং তথ্যপ্রযুক্তি সামগ্রিক নিরাপত্তা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে। সরকার ব্যবসায়িক সম্পদ এবং ব্যবসার উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সক্ষম হতে পারে যাতে ব্যবসায়িক তথ্য, গোপনীয়তা এবং গ্রাহকদের তথ্য নিরাপত্তা সংরক্ষিত থাকে।

সাইবার নিরাপত্তার ভবিষ্যত

সাইবার নিরাপত্তা এবং সাইবার আপাততা একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ডিজিটাল প্রশাসনের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠছে, এবং এর ভবিষ্যত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি। কারণ সাইবার আক্রমণ, ডেটা লিকেজ, অভ্যন্তরীণ সাইবার আপাততা, মালওয়্যার প্রচার, অনুপ্রবেশ অনুমতি নেই করা ইত্যাদি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে এবং আরও সম্ভাবনার বেশি হতে পারে।

ভবিষ্যতে সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কিছু মূল পরিবর্তন দেখা যেতে পারে:

১. এক্সপনেন্টিয়াল তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ: সাইবার যুগে আরও অনেক তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, স্মার্ট সিটিজেন্স, আইওটি, বিগ ডেটা, মেশিন লার্নিং, ক্যাপ্টিভ নেটওয়ার্ক, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, ব্লকচেইন ইত্যাদির বিকাশ সাইবার নিরাপত্তা প্রতিরোধে নতুন চ্যালেঞ্জস সৃষ্টি করেবে। সাইবার নিরাপত্তা সামগ্রিকভাবে এই পরিবর্তনগুলির সাথে সমন্বিত হতে হবে।

২. কিংবদন্তির নিশ্চয়তা ও এক্সপানশন: আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে সাইবার আপাততা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে। কৌশল এবং সম্প্রতিক টেকনোলজি পরিচালনার সাথে সাথে সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন এবং সাথেসাথে বাজারের মানুষের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনগুলি বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তিগত নতুন পরিবর্তনের সাথে সাইবার আপাততা ও নিরাপত্তা বিষয়ে চেতনা বাড়ানো হবে এবং প্রশিক্ষণ ও প্রক্রিয়া উন্নয়নের জন্য উন্নত সাধারণ জনগণের প্রতিষ্ঠানে নতুন সুযোগ প্রদান করা হবে।

৩. বাহ্যিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক সমঝোতার গুরুত্ব: সাইবার নিরাপত্তা গুণগতভাবে একটি আন্তর্জাতিক বিষয় হয়েছে কারণ সাইবার আপাততা ও নিরাপত্তা গোপনীয় ও গ্রাম্য সীমার উপর বিশ্বস্ত নয়। সংঘটিত সাইবার আপাততা অনুশীলন এবং সম্ভাবনার জন্য রাষ্ট্রগুলি আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা ও সমঝোতা করতে হবে। প্রযুক্তিগত নতুন পরিবর্তনের সাথে সাইবার আপাততা ও নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং সামগ্রিক সমাধানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তির উন্নয়ন ও প্রচার করা হবে।

মানব সমাজের সাথে সাইবার নিরাপত্তা প্রশাসনে সরকারের সমন্বয়করণ, সম্প্রতি প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য নীতিমালা ও আইনগত কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন অংশগুলি গুরুত্ব প্রাপ্ত হবে। এছাড়াও, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা, প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন ও সম্প্রতি পরিবেশগত জ্ঞানপ্রয়োগ সহ জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। সরকারের ভূমিকা হবে সাইবার নিরাপত্তার জন্য নীতি ও আইনের উন্নয়ন, সাইবার আপাততা সংঘটনের জন্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গঠন, এবং সংস্থাগুলি পরিচালনায় সহায়তা ও সমর্থন প্রদান করা।

উপসংহার:

সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে ? সাইবার নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের সাইবার জগতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোপনীয়তা, সততা এবং উপলব্ধতার বিষয়ে আমরা বিশেষ সচেতন থাকতে হবে এবং আমাদের ব্যক্তিগত ডেটা এবং ব্যবসায়িক সম্পদের সুরক্ষা উপেক্ষা করা যাক না। সরকারের ভূমিকা হলো সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি এবং আইনের উন্নয়ন, সাইবার আপাততা সংঘটনের জন্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা এবং সংস্থাগুলিকে সহায়তা ও সমর্থন প্রদান করা। সাইবার নিরাপত্তার ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবে প্রয়োজন হবে পরিবেশগত জ্ঞানপ্রয়োগ, সচেতনতা, প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রতিগত প্রযুক্তির উন্নয়ন। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক সমঝোতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন হবে সাইবার নিরাপত্তা এবং সাইবার আপাততা সম্পর্কিত মানদণ্ড এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গুলি তৈরি ও প্রয়োগ করতে। মানব সমাজের সহযোগিতা এবং সকলের সচেতনতাই সাইবার নিরাপত্তার ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে।

About Chakrirkagoj.com

Today Newspaper Jobs in Bangladesh is a leading online job portal in Bangladesh. It helps thousands unemployed people to find jobs.Now www.chakrirkagoj.com is most visited Job site.

Check Also

SSC Board Challenge 2022

SSC Board Challenge 2022 Process : Application for re-verification

SSC board challenge 2022 : The SSC Board Challenge Result 2022 has been declared on ... Read more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *